Tuesday 12 April 2011

৪ এপ্রিল সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক : কোরআনবিরোধী নারী নীতির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন আলেম সমাজ












রকিবুল হক

উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে নারী-পুরুষের সমান অধিকার রেখে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদিত ‘জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা-২০১১’ এর খসড়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে দেশের ইসলামপ্রিয় মানুষ। কয়েক বছর ধরে এ নীতি করার ঘোষণা দেয়ার পর অবশেষে তা অনুমোদনের খবরে হতবাক ও চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন তারা। এ নীতিকে সম্পূর্ণ কোরআনের আইনবিরোধী উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে ধর্মীয় সংগঠনগুলো। কোরআনের আইনবিরোধী এ নীতির প্রতিবাদে গতকাল রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সম্মিলিত উলামা-মাশায়েখ পরিষদ, খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী ঐক্যজোটসহ বিভিন্ন সংগঠন।
সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গতকাল মুক্তাঙ্গনের সমাবেশ থেকে ৪ এপ্রিল দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনী। এছাড়া খসড়া এ নীতি অনুমোদনের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, কওমি মাদ্রাসা বোর্ড, ফতোয়া বোর্ড, ন্যাপ ভাসানী প্রমুখ সংগঠন। এসব সংগঠনের নেতারা বলেন, ফতোয়া নিষিদ্ধের উদ্যোগ ও নারীনীতি প্রণয়ন একই সূত্রে গাঁথা। এর মাধ্যমে আওয়ামী সরকার দেশ থেকে ইসলামকে নির্মূল করতে চায়। কিন্তু এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ তা কোনো অবস্থায়ই বরদাশত করবে না। কোরআনের আইন পরিবর্তনের এখতিয়ার কারও নেই। অবিলম্বে নারীনীতি বাতিল ও ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধ না করা হলে প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটানো হবে বলে ঘোষণা দেন তারা।
ইসলামী ঐক্যজোট : কোরআনবিরোধী নারীনীতির প্রতিবাদে গতকাল বিকালে মুক্তাঙ্গনে ইসলামী ঐক্যজোটের বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে সংগঠনের চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনী বলেন, এ নীতিমালা কোরআনের পরিপন্থী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে হাত দিয়ে কোরআনের আইন পরিবর্তন করতে যাচ্ছেন আল্লাহতায়ালা তার সেই হাত চুরমার এবং তার গদিতে আগুন জ্বালিয়ে দেবেন। তিনি বলেন, নারীনীতি অনুমোদন প্রমাণ করে তিনি ফতোয়াকেও নিষিদ্ধ করে দেবেন। আর ফতোয়া নিষিদ্ধ হলে ইসলাম নিষিদ্ধ হবে। এই এখতিয়ার কারও নেই। প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব কোরআন রক্ষা করা। তিনি দেশের সব মাদ্রাসা বন্ধ রেখে ছাত্র ও শিক্ষকদের আন্দোলনে নামার আহ্বান জানান।
তিনি নারীনীতির প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে এটা বাতিলসহ ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ৪ এপ্রিল দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঘোষণা করেন। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা আবদুর রকিব অ্যাডভোকেট, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল মুক্তাঙ্গন, জিরো পয়েন্ট ও পল্টন মোড় হয়ে প্রেস ক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।
জামায়াতে ইসলামী : সম্পদের উত্তরাধিকার প্রশ্নে ‘নারী-পুরুষের সমান অধিকার’ দেয়ার প্রস্তাব রেখে ‘নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১’ এর খসড়া মন্ত্রিসভা অনুমোদন করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম।
এক বিবৃতিতে তারা বলেন, পবিত্র কোরআনে আল্লাহপাক উত্তরাধিকার সূত্রে মুসলিম নারী ও পুরুষের জন্য সম্পত্তিতে কে কত অংশ পাবে তা সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন। শত শত বছর ধরে এ আইন আমাদের সমাজে চালু আছে। এমনকি ব্রিটিশ আমলসহ কোনো আমলেই এই আইনের ওপর হস্তক্ষেপ করার সাহস কোনো সরকার করেনি। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান মহাজোট সরকার মুসলিম উত্তরাধিকার আইন পরিবর্তনের মাধ্যমে কোরআনের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আল্লাহ বর্ণিত আইন বাতিল করার ক্ষমতা কোনো সরকারেরই নেই। এই খসড়া নীতিমালা অনুমোদনের মাধ্যমে সরকার নিজেদের প্রকাশ্যে ইসলামবিরোধী সরকার হিসেবে চিহ্নিত করল। অথচ নির্বাচনের প্রাক্কালে আওয়ামী লীগ ঘোষণা দিয়েছিল, ইসলামবিরোধী কোনো আইন পাস করা হবে না। তারা বলেন, সরকার নারীদের প্রতি বৈষম্য দূর করার নামে কোরআনের আইন পরিবর্তনের যে ঘোষণা দিয়েছে তার প্রতিবাদ করা মুসলিম নারী-পুরুষ সবার ঈমানী দায়িত্ব। শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানের এ দেশে কোরআনের আইন পরিবর্তনের উদ্যোগ দেশবাসী কখনও মেনে নেবে না। এদেশের আলেম সমাজ ও তৌহিদী জনতা এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে ইনশাআল্লাহ। এ হঠকারী সিদ্ধান্ত বাতিল করার জন্য তারা সরকারের কাছে জোর দাবি জানান। অন্যথায় দায়দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে বলে তারা উল্লেখ করেন।
ইসলামী আন্দোলন : ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম এক বিবৃতিতে নারী উন্নয়ন নীতিমালার অনুমোদনকে ইসলামের বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, যারা কোরআনের সুস্পষ্ট আইন সম্পত্তির বণ্টনকে অস্বীকার করে নতুন আইন প্রণয়ন করে, তারা সরাসরি কোরআনকেই অস্বীকার করে। আর কোরআনকে অস্বীকারকারী কেউ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠের দেশের মন্ত্রিত্বে থাকতে পারে না। তিনি সরকারের বিরুদ্ধে অপ্রতিরোধ্য আন্দোলন করার হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
খেলাফত আন্দোলন : বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা মোহাম্মদ জাফরুল্লাহ খান বলেছেন, সম্পদে উত্তরাধিকার প্রশ্নে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত নারী-পুরুষ সমানাধিকার আইন সম্পূর্ণ কোরআনবিরোধী। এটা পবিত্র কোরআনের বিধানের ওপর সরাসরি হস্তেক্ষেপ এবং মহান আল্লাহতায়ালার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। তিনি ঈমান ও মুসলিম কৃষ্টি-কালচার রক্ষায় সরকারের ইসলামবিরোধী তত্পরতা প্রতিরোধের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।
গতকাল বিকালে রাজধানীর মুক্তাঙ্গনে ‘উত্তরাধিকারে নারী-পুরুষ সমানাধিকার আইন বাতিলের দাবিতে’ বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের ঢাকা মহানগর আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা সাজিদুর রহমান ফয়েজী, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, আবদুল মান্নান ঢালী ও মাওলানা আবুল কাসেম কাসেমী প্রমুখ। সমাবেশ শেষে রাজধানীতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি জাতীয় প্রেস ক্লাব হয়ে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।
সম্মিলিত ওলামা-মাশায়েখ পরিষদ : খসড়া নারীনীতির বিরুদ্ধে গতকাল বিকালে মুক্তাঙ্গনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সম্মিলিত ওলামা-মাশায়েখ পরিষদ। মিছিলপূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুহিউদ্দীন খান বলেন, কোরআন-হাদিসবিরোধী নারীনীতির নামে সরকার আল্লাহ ও রাসূলের (সা.) বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। মুসলমানরা এ আইন বরদাশত করবে না। তিনি অবিলম্বে এটা বাতিল ও ফতোয়া নিষিদ্ধের চক্রান্ত বন্ধের দাবি জানান। অন্যথায় হরতালসহ লাগাতার কর্মসূচি দিয়ে সরকার পতনের আন্দোলনের হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, অধ্যক্ষ যাইনুল আবেদীন প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল পল্টন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
কওমি মাদ্রাসা বোর্ড : সম্পদে নারী-পুরুষের সমান অধিকার রেখে মন্ত্রিসভায় পাস হওয়া খসড়া নারী উন্নয়ন নীতিমালা কোরআনের সরাসরি বিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড-বেফাকের নেতারা। তারা বলেন, সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল কোরআন, সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন পাস করা হবে না। সরকার ক্ষমতায় এসে বিভিন্ন ধাপে পরিকল্পিতভাবে কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে এদেশে কোরআন সুন্নাহ থাকতে দেয়া হবে না। পশ্চিমা প্রভুদের খুশি করতে যদি এই নারী উন্নয়ন নীতিমালা চূড়ান্ত হয় তাহলে সরকার প্রধানসহ মন্ত্রিসভার সদস্যদের দেশ ছেড়ে পালানোর সুযোগ দেয়া হবে না।
বিবৃতি প্রদানকারীরা হলেন, বেফাকের সভাপতি ও চট্টগ্রাম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ্ আহমেদ শফি, সহ-সভাপতি আল্লামা আশরাফ আলী, আল্লামা আনোয়ার শাহ্, আল্লামা মোস্তফা আজাদ, আল্লামা নূর হোসেন কাসেমী, বেফাক মহাসচিব মাওলানা আবদুল জব্বার, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আবুল ফাতাহ মো. ইয়াহিয়া ও মাওলানা মাহফুজুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সাদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি মাওলানা সাজিদুর রহমান।
ছাত্রমজলিস : বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রমজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ শায়খুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আবুল কাশেম এক যুক্ত বিবৃতিতে মন্ত্রিসভায় সম্পত্তিতে নারী-পুরুষের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার বিধান নিয়ে যে নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ অনুমোদন হয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেন।
ওলামা-মাশায়েখ কমিটি : নারী উন্নয়ন নীতি অনুমোদনের প্রতিবাদে ওলামা-মাশায়েখ কমিটির প্রখ্যাত আলেমরা বলেন, শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানের এ দেশে কুরআনের আইন পরিবর্তনের উদ্যোগ দেশবাসী কখনও বরদাশত করবে না। এদেশের পীর-মাশায়েখ, আলেম সমাজ ও তৌহিদী জনতা এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। এ আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বাতিল না করা হলে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের জবাব দিতে আলেম সমাজ পিছপা হবে না। বিবৃতিদাতারা হলেন হজরত মাওলানা আবুল কালাম মুহাম্মাদ ইউসুফ, মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুস সুবহান, মাওলানা মুহাম্মাদ আবু তাহের, মাওলানা অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, মাওলানা যাইনুল আবেদীন, মাওলানা আবদুস শহীদ নাসিম, মাওলানা এটিএম মাসুম, ড. মাওলানা আবুবকর রফিক আহমদ, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা মুফতি আবদুস সাত্তার প্রমুখ।
শরিয়াহ হেফাজত কমিটি : আহকামে শরিয়াহ হেফাজত কমিটির আহ্বায়ক হাফেজ মাওলানা মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মুফতি মাওলানা ড. আবু ইউসুফ খান, মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা আবদুছ ছবুর মাতুব্বর, শর্ষিণার ছোট পীর মাওলানা আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী, পীর আলহাজ মাওলানা আবদুল মোমেন নেসারী প্রমুখ এক বিবৃতিতে বলেন, নারী-পুরুষ সমান অধিকার আইনের খসড়া অনুমোদন কুরআনের ওপর প্রকাশ্য হস্তক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই নয়। এটা আল্লাহতায়ালা ও কুরআনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। অতএব সরকারের এহেন সিদ্ধান্তকে অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। অন্যথায় সঙ্গত কারণেই ঈমানদার মুসলমান জীবনের বিনিময়ে হলেও দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করবে।
এ বিষয়ে আরও বিবৃতি দিয়েছেন, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির প্রিন্সিপাল রেজাউল আলম খন্দকার ও সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রুহুল আমিন, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান শেখ আনোয়ারুল হক ও মহাসচিব হাসরাত খান, জাতীয় ফতোয়া বোর্ডের মুফতি প্রফেসর ড. ইয়াহইয়ার রহমান, প্রফেসর ড. আবদুল মাবুদ, প্রফেসর মাওলানা আবদুস সালাম মাদানী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি শায়খ আবদুল মুমিন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, সম্পদের উত্তরাধিকার প্রশ্নে নারী-পুরুষের সমান অধিকার দেয়ার বিধান রেখে অনুমোদিত ‘নারী উন্নয়ননীতি ২০১১’-এর খসড়ায় নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদ (সিডও) বাস্তবায়নসহ ১৯৯৭ সালের নীতিমালার প্রায় সব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে কোরআনের আলোকে উত্তরাধিকার সংক্রান্ত যে আইন আছে তা পাল্টে যাবে

No comments:

Post a Comment