Wednesday 21 September 2011

আজহারুলসহ ১৮৩ জামায়াত নেতা-কর্মীর ১৯ দিনের রিমান্ড


Tue 20 Sep 2011 6:49 PM BdST

rtnnঢাকা, ২০ সেপ্টেম্বর (আরটিএনএন ডটনেট)-- জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল আজহারুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক তসনীম আলম ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ইজ্জতউল্লাহ সহ ১৮৩ নেতা-কর্মীকে ১৯ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

পল্টন ও রমনা থানায় দায়ের করা পৃথক চারটি মামলায় পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ঢাকা মূখ্যমহানগর আদালতের বিচারক সুনন্দ বাগচি শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এরআগে সোমবার কাকরাইল-বিজয়নগরে জামায়াত-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় আটক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ৩৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।

পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক কামারুজ্জামান পৃথক দুটি মামলায় ১০ দিন করে ২০ দিন এবং রমনা থানার উপ-পরিদর্শক অপর দুটি পৃথক মামলায় ১৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে।

বেলা তিনটার পর চারটি প্রিজন ভ্যানে করে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে নেয়া হয়। কয়েদখানায় প্রায় দুই ঘণ্টা রাখার পর জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেলসহ তিন সিনিয়র নেতাকে আদালতে নেওয়া হয়।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতকে জানায়, সকল আসামিকে আদালতে উপস্থিত করা ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ড শুনানি আইনসম্মত নয়।

এ সময় আদালত প্রায় আধা ঘণ্টা মুলতবি করা হলে পুলিশ বেশ কয়েকজন আসামিকে আদালতে হাজির করে। কিন্তু ১৮৩ আসামির সবাইকে আদালতে হাজির না করায় শুনানি বর্জন করে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

আসামিপক্ষের আইনজীবী জানান, আইন অনুযায়ী রিমান্ড শুনানির আগে আসামিদের সবাইকে আদালতে হাজির করতে হয়। আদালত সন্তুষ্ট হয়ে রিমান্ড দেবে অথবা রিমান্ড না মঞ্জুর করবে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আদালতে ১৮৩ জন আসামি সবাইকে হাজির করা হয়নি। এছাড়া আদালতও আগে থেকেই রিমান্ড মঞ্জুর করার বিষয়টি স্থির করে রেখেছিলেন। এজন্য আসামিপক্ষে আইনজীবীরা শুনানি বর্জন করেছে।

এ সময় জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে ডিবি কার্যালয়ে অমানুষিক নির্যাতন করা হয় বলে তার আইনজীবীরা অভিযোগ করেন। নির্যাতনে পায়ে আঘাত পাওয়ায় তিনি হাঁটতে পারছিলেন না বলে তারা দাবি করেন।

তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সব আইন মেনেই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া সব আসামির উপস্থিতিতে আদালত চার মামলায় তাদের ১৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

এর আগে জামায়াত নেতাদের আদালতে নেয়ার আগে আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। আদালত চত্বর থেকে সন্দেহভাজন লোকজনদের গ্রেপ্তার করতে দেখা যায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের।

আরটিএনএন ডটনেট/এমএসআই/এসআই_ ২৩০৫ ঘ.