Wednesday 29 December 2010

নতুন কাঠামোয় বেতন দাবি : গাজীপুরে গার্মেন্ট শ্রমিকদের বিক্ষোভ সড়ক অবরোধ



স্টাফ রিপোর্টার টঙ্গী ও গাজীপুর


গাজীপুর সদর উপজেলার বড়বাড়ি এলাকার মুনলাইট গার্মেন্ট কারখানার শ্রমিকরা সরকার ঘোষিত বেতন কাঠামো যথাযথ বাস্তবায়নসহ সাপ্তাহিক ছুটি কার্যকর ও ৪০% হারে অতিরিক্ত কাজের মজুরির দাবিতে গতকাল ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রায় ৩ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অবরোধ চলাকালে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে গাজীপুর সালনা পর্যন্ত মহাসড়কের উভয়
পাশে দীর্ঘ প্রায় ২৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে হাজার হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগের শিকার হন। স্কুল-কলেজগামী ছাত্রছাত্রী ও অফিসগামী লোকজন হেঁটে নির্ধারিত সময়ের পর গন্তব্যে পৌঁছলেও দূরপাল্লার যাত্রীদের অসহায় অবস্থায় বসে থাকা ছাড়া কিছুই করার ছিল না।
শ্রমিকরা অভিযোগ করে জানায়, সরকার ঘোষিত বেতন কাঠামো অনুযায়ী জুনিয়র শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য পারিশ্রমিক পেলেও সিনিয়র শ্রমিকরা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া সাপ্তাহিক ছুটি দিচ্ছে না এবং তাদের অতিরিক্ত কাজের মজুরি ৪০% এর স্থলে ৩০% দিচ্ছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
গতকাল সকালে শ্রমিকরা বেতন বৈষম্যের অভিযোগে কাজে যোগদান না করে কারখানার গেটে জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে তারা সরকার ঘোষিত নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন, সাপ্তাহিক ছুটি কার্যকরসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কারখানার সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। এ সময় শ্রমিকরা কারখানা ভাংচুরের চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, শিল্প পুলিশের স্থানীয় ওসিসহ টঙ্গী ও জয়দেবপুর থানার বিপুলসংখ্যক পুলিশ, আর্মড পুলিশ, ও র্যার সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। ওই গামের্ন্ট কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল আহসান খালেদের ছেলে সাইফুল আরেফিন খালেদ গিয়ে শ্রমিকদের সব দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেন।
অবরোধ চলাকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ প্রায় ৩ ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় শিশু ও মহিলা যাত্রীরা পড়েন মহাবিপাকে। অনেককে বাধ্য হয়েই হেঁটে গন্তব্যে দিকে রওয়ানা হতে দেখা গেছে। এ সময় ভাংচুরের আশঙ্কায় মহাসড়কের পাশের দোকানপাট সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। খাবার ও ওষুধের দোকানসহ সব ধরনের দোকানই বন্ধ দেখা গেছে

No comments:

Post a Comment