Saturday 26 May 2012

সাংবাদিক পেটানোয় ৯ পুলিশ বরখাস্ত, কমিটি গঠন Sat 26 May 2012 8:22 PM BdST
ঢাকা, ২৬ মে (রিয়েল-টাইম নিউজ ডটকম)-- রাজধানীর আগারগাঁওয়ে দৈনিক ‘প্রথম আলো’ পত্রিকার তিন ফটোসাংবাদিককে পেটানোর ঘটনায় পুলিশের এক এসআইসহ ৯ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে এক সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এছাড়া শেরেবাংলা নগর থানার তেজগাঁও অঞ্চলের সহকারী কমিশনার শহীদুল ইসলামকে ক্লোজ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সদরদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। তেজগাঁও জোনের ডিসি ইমাম হোসেন সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। দেশের বিভিন্ন স্থানে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের ধারাবাহিকতায় শনিবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে সড়ক অবরোধ করে ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এ সময় দায়িত্ব পালনকালে প্রথম আলোর তিন আলোকচিত্রীকে বেদম মারধর করে পুলিশ। আহতরা হলেন- খালেদ সরকার, সাজিদ হোসেন ও জাহিদুল করিম। তাদের পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ কমিশনার ইমাম হোসেন বলেন, ‘আপনাদের (সাংবাদিকদের) চাওয়া মতো অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। এখন অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বললে বিষয়টি সম্পর্কে আরও জানা যাবে।’ বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- উপপরিদর্শক জহিরুল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক শফিকুর রহমান ও নাজমুল ইসলাম, কনস্টেবল মতিউর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, মো. শাহজাহান, মো. জয়নাল, রতন ও জাহাঙ্গীর। এদিকে, ডিএমপির গণসংযোগ শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, ‘সাংবাদিক পেটানোর ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার শাহাবুদ্দিন কোরেশিকে প্রধান করে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’ এদিকে, পুলিশের পিটুনিতে আহত প্রথম আলোর তিন ফটোসাংবাদিককে উন্নত চিকিৎসার জন্য পঙ্গু হাসপাতাল থেকে রাজধানীর ট্রমা সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়েছে। শনিবার সন্ধায় তাদের সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া, এই ঘটনায় প্রথম আলোর সাংবাদিকেরা শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। এদিকে, ডিএমপির গণসংযোগ শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, ‘সাংবাদিক পেটানোর ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার শাহাবুদ্দিন কোরেশিকে প্রধান করে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’ পুলিশের হামলায় আহত ফটোসাংবাদিক সাজিদ হোসেন জানান, পলিটেকনিক মহিলা কলেজে ছাত্রীদের মিছিলে ছবি তুলতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। বাধা দেয়ার কারণ জানতে চাই। এ সময় পুলিশের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে পুলিশ মারধর শুরু করে। এ হামলায় ডিএমপির তেজগাঁও জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) শহিদুল ইসলাম নেতৃত্ব দেন বলে জানান তিনি। সাজিদ আরো বলেন, সাংবাদিক পরিচয় দিলেও শহিদুল উত্তেজিত হয়ে নিজেকে সাংবাদিকের বাপ দাবি করে বলেন, ‘আমি অনেক সাংবাদিক দেখেছি, অনেক সাংবাদিক মেরেছি তুই কে?’ তিনি আরো জানান, ‘এরপর শহিদুল আমাদের পুলিশের অস্ত্র ছিনতাইয়ে মামলা দেয়ার জন্য তার সহোযোগিদের নির্দেশ দেন এবং আমাদের ক্যামেরা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে শেরেবাংলানগর থানায় নিয়ে আসেন।’ সাজিদ বলেন, ওই সময়ে আমাদের আরো তিন ফটো সাংবাদিক ঘটনাস্থলে উপস্থতি ছিলেন। তারা আমাকে বাঁচাতে এলে তাদেরও পুলিশ বেধড়ক পেটায়। একই ঘটনায় আহত সাজিদের অপর সহকর্মী সাংবাদিক জাহিদুল করিম বলেন, মিছিলে দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশ মা-বাবাকে তুলে গালি গালাজ করতে থাকে। এ সময় সাজিদ গালিগালাজ করার কারণ জানতে চায়। এটা বলার পরেই কিল ঘুষি-লাথি আর বেধড়ক লাটিপেটা করে রক্তাক্ত করে দেয়। রিয়েল-টাইম নিউজ ডটকম/এইচএ/এমআই_ ২০২১ ঘ.

No comments:

Post a Comment