Friday 25 May 2012

পরিস্থিতি সামলাতে পারছে না সরকার হারুন জামিল ও ফজলুল হক শাওন দেশের অভ্যন্তরীণ ও বাইরের কোনো পরিস্থিতিই সামাল দিতে পারছে না সরকার। সরকারি দলের ভেতরে-বাইরে রয়েছে এ নিয়ে ক্ষোভ। অনেক সময় মাঠপর্যায়ে নেতাকর্মীদের প্রশ্নের জবাব দিতে পারছেন না সরকারি দলের শীর্ষপর্যায়ের নেতারা। অর্থনৈতিক মন্দা, রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, খুন, গুমের বিস্তার, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, বিদ্যুৎ নিয়ে চরম দুরবস্থা এবং কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের মূল্য না পাওয়ার মতো হাজারো অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে সরকারি দলের নেতাকর্মীদের নাজেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের রিপোর্টে বাংলাদেশ পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিস্তার, খুন, গুমসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্টতার ফিরিস্তি বর্ণনা করা হয়েছে। এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে বিচার বিভাগ দলীয়করণের কুফল সম্পর্কেও মন্তব্য করা হয়েছে রিপোর্টে। বলা হয়েছে, বিচার বিভাগে দলীয় লোক নিয়োগের ফলে জনগণের ন্যায়বিচারপ্রাপ্তি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনালে বিচারের মান সম্পর্কেও প্রশ্ন তোলা হয়েছে রিপোর্টে। অন্য দিকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় এখন সরব আলোচনা চলছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে। ইকোনমিস্টের সবশেষ প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ভঙ্গুর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে বর্তমান সরকার যে এখন আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে তার বিবরণ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ইমেজ সঙ্কট এখন চরমে পৌঁছেছে। দেশটিতে গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চা হচ্ছে না। সরকারের নিবর্তনমূলক কর্মকাণ্ডের ফলে জনগণের মত প্রকাশের অধিকারও সীমিত হয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করা হয়েছে এসব প্রতিবেদনে। এমনিতেই বর্তমান সরকারের সময়কালে কাজের চেয়ে কথা হচ্ছে অনেক বেশি। সরকারের মন্ত্রী ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের লাগামহীন বক্তব্য ও অতীতমুখী রাজনীতির ফলে দেশে উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয়নি। প্রশাসন অদক্ষ ব্যক্তিদের মিলনকেন্দ্রে পরিণত হওয়ায় উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন স্থবির হয়ে পড়েছে। শেষ মুহূর্তে অনেক প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে। ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের অসহিষ্ণুতা সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ায় ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। এসবই সরকারের জন্য ক্রমান্বয়ে কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সরকারি দলের মাঠপর্যায়ের নেতারা জানান, প্রতিনিয়ত তারা যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছেন তার জবাব দিতে না পেরে অনেক সময় তারা অভিযোগ নিয়ে ছুটছেন জেলাপর্যায়ে; কিন্তু জবাব মিলছে না। প্রধানমন্ত্রীর সাথে জেলাপর্যায়ের নেতাদের প্রায় প্রতিটি বৈঠকেই এসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। সেখানেও সন্তোষজনক জবাব মিলছে না। সক্রিয় নেতাকর্মীরাও এই ক্ষোভ ও হতাশায় এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনায় অংশ নেয়া মাঠপর্যায়ের জেলা নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ পর্যন্ত যেসব নেতার সাথে বৈঠক হয়েছে সব বৈঠকেই তৃণমূলপর্যায়ের ক্ষোভের কথা তুলে ধরা হয়েছে। তাদের ক্ষোভের প্রধান কারণ জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো। এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। নতুন লাইনের সংযোগ প্রায় বন্ধ। ধানের উৎপাদন মওসুমে বাজারমূল্যে কৃষকের খরচ উঠছে না। রাস্তাঘাট বিশ্রী চেহারা নিয়েছে। এলজিইডি গত ১৫ বছরে গ্রামাঞ্চলে যে শত শত কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করেছিল তার রক্ষণাবেক্ষণও বন্ধ। যেসব গ্রামে বিদ্যুৎসংযোগ গেছে এই গ্রীষ্মে সেখানে দিনে চার-পাঁচ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকে না। নির্বাচনের আগে এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও এমপিওভুক্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সাড়ে তিন বছরে সেসব প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। গ্রামের সাধারণ মানুষকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভোট নিয়েছিলেন তারা। কিন্তু চাকরি নিতে গিয়ে উল্টো টাকা গুনতে হচ্ছে। সাধারণ কোনো অরাজনৈতিক পরিবারের কেউ মেধার জোরে চাকরির পরীক্ষায় সরকারি দলের নেতাদের কাছ থেকে সনদ না আনতে পারলে কাজে যোগদান অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ আরো বাড়ছে। বৃহত্তর নোয়াখালী এলাকার একজন নেতা জানান, সম্প্রতি তাদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে একাধিক নেতাই পরিস্থিতির এ রকম চিত্র তুলে ধরেছেন। তারা বলেন, এলাকার মানুষ এখন অনেক সচেতন। বহু বিষয়ে গ্রামের মানুষ শহরের লোকেরও আগে খবর পেয়ে যান। তথ্যপ্রযুক্তি ও মোবাইল ফোনের কল্যাণে কথা ছড়িয়ে পড়ে মুখে মুখে। কারো মুখই আটকে রাখা যায় না। সত্যটা ঢেকেও রাখা যায় না। সত্য-মিথ্যা মিলিয়ে এমনসব কথা ছড়িয়ে পড়ে, যা বিব্রতকর। সব কথার জবাবও দেয়া যায় না। আমরা মুখ দেখাতে পারি না। তিনি বলেন, এত দিন গত সরকারের দুর্নীতির কথা বলেছি। মানুষ এখন উল্টো জিজ্ঞাসা করেÑ তারা তো অনেক আগেই বিদায় হয়েছে। আপনারা এত দিন কী করছেন? জবাব দিতে পারি না। সাতক্ষীরার এক নেতা জানান, আমরা এলাকায় সাধারণ মানুষের বহু প্রশ্নের মুখোমুখি হই। ধান চালের দাম নেই। কৃষকের ঘরে ধান যতক্ষণ আছে মূল্য পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর টিভির পর্দায় মন্ত্রীদের বড় বড় কথা শুনে লোকজন মারমুখো হয়ে ওঠে। আমরা কী জবাব দেবো বুঝতে পারি না। পাবনা এলাকার এক নেতা জানান, এত দিন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা বলেছি। তারাই সব ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত এ কথা বহুবার বলেছি। এখন আর লোকজন এসব বিশ্বাস করতে চাচ্ছে না। সচিবালয়ে এক প্রতিমন্ত্রীর দফতরে আসা এসব জেলা নেতা প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন। একজন বললেন, এসব কথা এখানে না বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানালেন না কেন? বৃহত্তর ময়মনসিংহ এলাকার এক নেতা বললেন, আমরা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলেছেন, আগামী দেড় বছরে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু এ কথা মানুষকে বলব কিভাবে? সাড়ে তিন বছরে যা হয়নি দেড় বছরে তা কিভাবে হবে? যশোর এলাকার এক ইউপি চেয়ারম্যান বললেন, সরকারের এখনো দেড় বছর বাকি। এখনই ওসি, এসপিরা আমাদের কথা শুনছেন না। কোনো কথা বললে ‘দেখছি’ বলে রেখে দিচ্ছেন। পরিস্থিতি কোথায় যাচ্ছে আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না। মাঠপর্যায়ের একাধিক নেতা আলাপকালে জানান, নোবেলবিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের বিরূপ মন্তব্যে আমরা লজ্জিত। মানুষ এখন অনেক কিছুই বুঝতে পারে। তাদের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। তারা সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সংলাপ দেখতে চায়। সঙ্ঘাতের পথে তারা যেতে চায় না। কিন্তু এ ব্যাপারে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সব কিছুকেই ম্লান করে দিচ্ছে। তারা বলছেন,একটি মন্দ দৃষ্টান্ত অন্য সব অর্জনকেও তুচ্ছ করে ফেলছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা রাতারাতি উঠিয়ে দেয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। আমরা এসব কথার জবাব দিতে পারছি না। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর একজন সদস্য জানান, পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে আমরা তা বুঝতে পারছি না। আমাদের কাছে জনগণের যে বিশাল প্রত্যাশা ছিল তা আমরা পূরণ করতে পারিনি। আমরা বিরোধী দলের দুর্নীতির কথা বলছি। নিজেদের কথা বলতে পারছি না। সাধারণ মানুষ ুব্ধ। তারা প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারছে না। তবে বলার সময় এলে তাদের ঠেকানোও যাবে না। কারণ সাফল্য- ব্যর্থতার বিচার করার ক্ষমতা জনগণের রয়েছে। যোগাযোগ করা হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ তরিকুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে জানান, সরকার যে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না এ কথা দিবালোকের মতো সত্য। তাদের ব্যর্থতা স্পষ্ট। আমরা আগেও বলেছি, এখনো বলছিÑ সরকারের ধারাবাহিক ব্যর্থতায়ই দেশে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এত দিন যেসব কথা বলেছি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকারবিষয়ক প্রতিবেদন, অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনসহ আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় তা ফলাও করে প্রচার হয়েছে। সরকার এত দিন বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার যে অপচেষ্টা চালাচ্ছিল এসব রিপোর্টে তাও প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা যে সত্য বলেছিলাম তার প্রমাণ এখন বহির্বিশ্বও দিলো। তিনি বলেন, আমরা দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন। সরকারপ্রধান নিজেই বলেছেন, দেশে এক-এগারোর পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। কিন্তু এ জন্য তো আমরা দায়ী নই। সরকারের ব্যর্থতার পটভূমিতে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এর জবাব সরকারকেই দিতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সংলাপের বিরোধী নই। কিন্তু নেতাকর্মীদের জেলে রেখে সংলাপ হতে পারে না। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন নয়া দিগন্তকে বলেন, ২০০৪ সালে র‌্যাব সৃষ্টি করা হয়েছে। তখন থেকেই এ ধরনের হত্যাকাণ্ড চলে আসছে। এখনো মাঝেমধ্যে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে পূর্ণ তদন্ত হওয়া দরকার। তিনি বলেন, কোনো দাগি আসামি ধরতে গিয়ে তারা যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর গুলি ছোড়ে, তাহলে জীবন বাঁচাতে তারা পাল্টা গুলি করলে এটা হত্যাকাণ্ড না অন্য কিছু, সে বিষয়ে তদন্ত হওয়া দরকার। তিনি বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সোর্স কী তা জানি না। তবে তাদের প্রতিবেদনের বিষয়টিও ক্ষতিয়ে দেখতে হবে। সাবেক আইনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু জানান, সংসদের মধ্যে সংবিধানের আওতায় যেকোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সংসদে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিবেদনটি তিনি এখন পর্যন্ত পড়েননি। সে কারণে এ সম্পর্কে মন্তব্য করতে পারছেন না। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ নয়া দিগন্তকে বলেন, সংলাপ করে কোনো সমাধান হবে বলে আমি বিশ্বাস করি না। বিভিন্ন দল থেকে নির্বাচিত কয়েকজন এমপি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হলে কী লাভ হবে? প্রধানমন্ত্রী তার পদে বহাল থাকলে এবং নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। তিনি বলেন, অধিকার এমনিতেই কেউ দেয় না। বিএনপিকে অধিকার আদায় করে নিতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিরোধী দলের দাবি অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করেন মহাজোটের শরিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, ত্রুটিপূর্ণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা থাকতে পারে না। বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে সর্বদলীয় আলোচনার পপাতি তিনি। বিরোধী দলের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, বিকল্প নির্বাচনীব্যবস্থা তৈরি করুন, এর রূপরেখা উপস্থাপন করুন। সে বিষয়ে আলোচনা করতে আমরা প্রস্তুত আছি। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বিমল বিশ্বাস নয়া দিগন্তকে বলেন, দেশের মানুষ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। আওয়ামী লীগ বা কোনো দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এটা মানুষ বিশ্বাস করে না। সব মিলিয়ে আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রেক্ষাপট সৃষ্টি করতে হবে; অন্যথায় সঙ্ঘাত অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠবে। গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি নুরুর রহমান সেলিম বলেন, নির্বাচন অনেক দূরে। নির্বাচন নিয়ে সংলাপের আগে মানুষ বাঁচানোর সংলাপ করতে হবে। মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। কৃষকের ধানের দাম নেই, মানুষের কাজ নেই, বিদ্যুতের চরম সঙ্কট, পানির জন্য হাহাকার, গুম, হত্যা, খুন, ইলিয়াস আলী ও সুরঞ্জিত ঘটনায় দুই ড্রাইভারের নিরুদ্দেশ, দেশী-বিদেশী চক্রান্তÑ এসব বিষয়ে আগে আলোচনা হওয়া দরকার। http://www.dailynayadiganta.com/details/48705

No comments:

Post a Comment