Wednesday 29 June 2011

তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে উত্তপ্ত রাজনীতি : দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব : প্রধানমন্ত্রী















সংসদ রিপোর্টার
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করে সুপ্রিমকোর্টের রায়ের পর সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রাখার আর সুযোগ নেই। তিনি বলেন, সরকার কিংবা আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেনি, সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বাতিল হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের করণীয় কিছু নেই। আর সুপ্রিমকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার কোনো সুযোগ সাংবিধানিকভাবে কারও নেই। আইনের শাসন মানতে হলে সর্বোচ্চ আদালতের রায় মানতেই হবে। বিদায়ী সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ইঙ্গিত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা করবে, সরকার থেকে কোনো প্রভাব বিস্তার করা হবে না।নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা হবে। সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নির্বাচন কমিশন কাজ করবে। ‘ওয়ান ম্যান ওয়ান ভোট’ নিশ্চিত করতে ও কারচুপি ঠেকাতে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং পদ্ধতি চালু, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স প্রবর্তন, ছবিসহ ভোটার তালিকা এবং আইডি কার্ড চালু করা হবে। আলোচনার মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে বিরোধী দলের মতামত অবশ্যই গ্রহণ করা হবে। আলোচনার মাধ্যমে কমিশন গঠন করা যেতে পারে।দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে কি-না প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো সরকার নির্বাচন পরিচালনা করবে না। সংসদীয় গণতন্ত্রে যেভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয় ঠিক সেভাবেই নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করবে। ছবিসহ ভোটার তালিকা এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স রয়েছে। এখন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং সিস্টেম চালু করতে চাই। এ তিনটি কাজ হলে নির্বাচনে কোনো প্রকার কারচুপির সুযোগ থাকবে না। বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র, হত্যা ও উস্কানীর রাজনীতি বন্ধ করে সংসদে এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে মতামত জানান।সংবিধান সংশোধনে গঠিত সংসদীয় কমিটির সঙ্গে বৈঠকে আদালতের রায় অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্তের একদিন পর গতকাল বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা নিজেই এর কারণ ব্যাখ্যা করেন। বিরোধী দল বিএনপির মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ ও দেশে অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রাখেন তারা মধ্যবর্তী নির্বাচন চান, কিন্তু কেন? মধ্যবর্তী নির্বাচন কখন হয়? সংবিধান অনুযায়ী একমাত্র সরকারি দল সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালেই মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রয়োজন পড়ে। সরকারি দল আওয়ামী লীগ কী সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে? আর খালেদা জিয়া ও তার দলও কী এখন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছে? মধ্যবর্তী নির্বাচন হলেও গ্যারান্টি কি যে তিনিই (খালেদা জিয়া) জিতবেন। বিরোধী দলের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, অহেতুক দাবি তুলে দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা যদি কেউ করতে চায়, তাহলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। সম্প্রতি তুরস্ক, ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ড সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হলেও শেষ পর্যন্ত এতে জাতীয় রাজনীতি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু এবং আগামী নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের খোলামেলা উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির বিলুপ্তি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের একাধিক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বা আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কোনো অবস্থান নেয়নি। সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছে। একটি মহল দুরভিসন্ধিমূলকভাবে এ দায় আমার কাঁধে চাপানোর চেষ্টা করছে। আদালতের রায় অনুযায়ী এ ব্যবস্থা অবৈধ হয়ে গেছে, এখানে আমাদের করার কিছু নেই। গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি মহল পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করছে এমন অভিযোগ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে কিছু লোক আছে যাদের দল ও রাজনীতির মাধ্যমে কষ্ট করার ইচ্ছা নেই, কিন্তু ক্ষমতার উচ্চ আসনে বসার লোভ রয়েছে। এসব লোক দেশে গণতন্ত্র থাকলে মূল্যহীন থাকেন, অসাংবিধানিক সরকার ক্ষমতায় এলে তাদের মূল্য অনেক বাড়ে। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের আমলে এই শ্রেণীর মানুষের দুঃখ-বেদনা সবচেয়ে বেশি। তারা ‘মোচে তা’ দিচ্ছে কবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসবে, তাদের গুরুত্ব বাড়বে। এরা মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও নিজেদের অবস্থা পরিবর্তনে অগণতান্ত্রিক পথই খুঁজে বেড়ায়। তাদের যদি সত্যিই রাজনীতি করার ইচ্ছা থাকে তবে তাদের বলব জনগণের কাছে গিয়ে আস্থা অর্জন করে নির্বাচনে জিতে আসুন। তখন বড় বড় কথা বলুন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সংবিধান সংশোধন বিষয়ে একটি বিশেষ সংসদীয় কমিটি কাজ করছে। সুপ্রিমকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে সেখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির বিষয়টিও আলোচনায় চলে এসেছে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী গত কয়েকটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, ১৯৯৪ সালের ২০ মার্চ মাগুরা উপ-নির্বাচনে নজিরবিহীন ভোট কারচুপির প্রেক্ষাপটে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি ওঠে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি ভোটারবিহীন নির্বাচন করে। পরে জনগণের আন্দোলনের মুখে বিএনপি সরকার ১৯৯৬ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করে। ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত বিএনপি সরকার ৩০ মার্চ পদত্যাগে বাধ্য হয়, তাদের পতন ঘটে। যে প্রেক্ষাপটে সে সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি উঠেছিল, তা এখন আর নেই বলেও প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন।দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব দাবি করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের আমলে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, সবগুলোই অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। সংসদের বেশ কয়েকটি উপ-নির্বাচন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। হবিগঞ্জ উপনির্বাচনে মাগুরা উপ-নির্বাচনের মতো ঘটনা ঘটেনি। আওয়ামী লীগ কোন নির্বাচনেই প্রভাব বিস্তার করেনি। তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে সরকার আন্তরিক ও গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে দলীয় সরকারের আমলেও অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। তিনি বলেন, সুপ্রিমকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার কোনো সুযোগ সাংবিধানিকভাবে নেই। অষ্টম সংশোধনী বাতিলের উদাহরণ আমাদের সামনে রয়েছে। সংসদে আইন পাস করেও সেই সংশোধনী টেকেনি। তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধনের জন্য আমরা একটি সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটি গঠন করেছি। বিএনপি সেই কমিটিতে কোনো প্রতিনিধি দেয়নি। এসব সংশোধনী চূড়ান্ত করার জন্য সমাজের সব স্তরের মানুষের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। বিএনপিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কিন্তু তারা আসেনি। তিনি বলেন, সংসদে এ বিষয়ে আরও আলোচনা হবে। তাই বিএনপির প্রতি অনুরোধ জানাব, সংসদে এসে তাদের মতামত জানানোর। বাংলাদেশের সংবিধানে অতীতে ১৪টি সংশোধনী হয়েছে। কিন্তু অতীতে কোনো সংশোধনী নিয়েই এত বিশদ আলোচনা করা হয়নি। তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে চাই। কারণ গণতন্ত্র ছাড়া দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জনগণের কল্যাণ এবং সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় না। সমঝোতা ছাড়া একতরফাভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলুপ্ত করা হলে দেশ সংঘাত-সংঘর্ষের দিকে ধাবিত হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সংঘাত-সংঘর্ষ হয়নি? আর বিরোধী দল তো সবকিছুতেই বিরোধিতা করছে। একবার বলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই, তবে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে মানব না। অন্যজনকে করা হলে তখনও বলবে মানব না। আসলে তারা কী চায় তা জাতির সামনে স্পষ্ট করতে হবে। ক্ষমতা হস্তান্তর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া অতীতে কোনো দলই শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। সংসদীয় পদ্ধতির সরকার অনুযায়ী নির্বাচনের পর ক্ষমতা হস্তান্তরের যে বিধান রয়েছে তাই করা হবে।বিরোধী দলের কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া দেশ সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের অসত্য তথ্য তুলে ধরে আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। আড়াই বছর পর বিরোধী দলের নেতার মনে হয়েছে, আমরা নাকি ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছি! কোথায়-কীভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং হলো তা খালেদা জিয়াকে দেশবাসীর সামনে স্পষ্ট করে বলতে হবে। ২০০৮ সালের নির্বাচনকে আন্তর্জাতিক মহল বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অবাধ বলে রায় দিয়েছে।শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, বিরোধীদলীয় নেতার যাতনা আমরা বুঝি। তিনি (খালেদা জিয়া) দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক, সম্পদ লুণ্ঠনকারীদের বিচার হোক তা চান না। তাদের এক নেতা তো দাবিই তুলেছেন, বিরোধী দলের নেতা এবং তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিলে তারা নাকি সংসদে যোগ দেবেন! অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও রাজনৈতিক সংঘাত হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সে অস্ত্র এনে বৃষ্টির মতো গুলি করেছে। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া অতীতে বলেছেন, পাগল এবং শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। এখন তিনি কোন পাগলের অধীনে নির্বাচন করতে চান তা জানাতে হবে। তিনি বলেন, যখন কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে তখন সংঘাত হয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতার জন্য কখনও মরিয়া ছিল না। আগামীতেও আওয়ামী লীগে ক্ষমতার লোভ থাকবে না। জনগণ যাকে ভোট দেবে সেই সরকার গঠন করবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে প্রয়োজনে সংবিধানে সংশোধনী আনা যেতে পারে। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে ভবিষ্যতে যাতে কোনো বিতর্ক না হয় সেজন্য এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনা হবে। প্রয়োজনে সব রাজনৈতিক দলের মতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করা হবে। পরবর্তী ২ মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করার জন্য সুপ্রিমকোর্টের পরামর্শ সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, সুপ্রিমকোর্টের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল হয়েছে। এটা অবশ্য মানতে হবে। আর ২ মেয়াদে নির্বাচনের পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। পর্যবেক্ষণ অবশ্য পালনীয় নয়। এছাড়া সুপ্রিমকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির সঙ্গে বিচার বিভাগকে সম্পৃক্ত না করার পরামর্শ দিয়েছেন

No comments:

Post a Comment